গ্রহরূপে পৃথিবী – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর || Earth as a planet

গ্রহরূপে পৃথিবী – ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর || Earth as a planet

প্রিয় বন্ধুরা :- আজ তোমরা গ্রহরূপে পৃথিবী কে জানবে, যেটি সৌরজগতের একটি বিষয়। পৃথিবীর আবর্তন গতি, পরিক্রমণ গতি, অপসূর ও অনুসূর অবস্থান, মহাবিষুব ও জলবিষুব, এই সমস্ত বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে নিচের বিষয়বস্তুগুলো জেনে নেওয়া যাক।

গ্রহরূপে পৃথিবী

গ্রহ (Planet)

এ গ্রহের নিজস্ব আলো ও উত্তাপ নেই।
নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয়।
নক্ষত্রের আকর্ষণে নক্ষত্রে চারদিকে ঘোরে
গ্রহ নক্ষত্রের থেকে অনেক ছোটো হয়

পৃথিবী (Earth)

সৌরজগতের একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে ।
পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয়।
সূর্য থেকে দূরত্বানুযায়ী পৃথিবীর অবস্থান তৃতীয়।
সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ।
চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ ।

পৃথিবীর গতি (Movement of the Earth)

আবৰ্তন : ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড (২৪ ঘণ্টা)
পরিক্রমণ: ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা । মিনিট ৪৬ সেকেন্ড (365 দিন)

পৃথিবীর গতি দুই প্রকার

আবর্তন বা আহ্নিক গতি (Rotation)
পরিক্রমণ বা বার্ষিক গতি (Revolution)

অপসূর ও অনুসূর অবস্থান

৪ঠা জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় (প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি)। একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলা হয়।
৩রা জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম হয় (প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি)। একে পৃথিবীর অনুসৱ অবস্থান বলা হয় ।

প্রধান অক্ষরেখা

সুমেরুবৃত্ত রেখা – 66 1/2° উত্তর
কর্কটক্রান্তি রেখা – 23 1/2° উত্তর
নিরক্ষরেখা – 0°
মকরক্রান্তি রেখা 23 1/2° দক্ষিণ
কুমেরুবৃত্ত রেখা – 66 1/2° দক্ষিণ

মহাবিষু ও জলবিষু

‘বিষুৰ’ (Equinox) কথার অর্থ ‘সমান দিন ও রাত্রি’
মহাবিষুব – 21শে মার্চ
জলবিষুব- 23শে সেপ্টেম্বর

কর্কটসংক্রান্তি ও মকরসংক্রান্তি

কর্কটসংক্রান্তি – 21শে জুন
মকরসংক্রান্তি 22শে ডিসেম্বর

কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

 

♦ পৃথিবীকে বলা হয় –  নীল গ্রহ।

♦ বর্তমানে সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা – 8টি।

♦ প্রাচীনযুগে মানুষের ধারণা ছিল পৃথিবী – সমতল।

♦ বর্তমানে বামন গ্রহের সংখ্যা — 5টি।

♦ পৃথিবী সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে – তৃতীয় গ্রহ।

♦ আয়তনের বিচারে গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীর স্থান – পঞ্চম।

♦ সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায় – 15 কোটি কিমি।

♦ নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল – সবচেয়ে কম।

♦ পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি – অভিগত গোলকের ন্যায়।

♦ পৃথিবীর গভীরতম অঞ্চল – মারিয়ানা খাত।

♦ পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থান – মাউন্ট এভারেস্ট।

Facebook
WhatsApp
Telegram

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Scroll to Top